ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আর্টিস্ট অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতলেন গাগা আবারও পর্দা শেয়ার করবেন শাহরুখ-আমির বাগী’র বিরুদ্ধে উঠলো চুরির অভিযোগ কাজলের সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া নিয়ে যা জানা গেল আবারও বিতর্কে জড়ালেন নুসরাত প্রকাশ্যে এলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ডাকসু নির্বাচন নিয়ে যা বললেন জয় খোদার কাছে শুকরিয়া জানালেন পরীমণি বাগেরহাটে ৪ সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে হরতাল যেদিন রাস্তায় নামবো, সেদিন বন্দুকও কিছু করতে পারবে না : কাদের সিদ্দিকী প্রার্থিতা ফিরে পেতে জুলিয়াস সিজারের করা রিট খারিজ ডেসকোতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ গত এক মাসে ৭৫০ রোহিঙ্গা দেশে প্রবেশ করেছে ডাকসু নির্বাচনে সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই-সেনাসদর ভিপি নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়নি-ঢামেক পরিচালক দরবারে হামলায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না-অতিরিক্ত ডিআইজি ভিপি প্রার্থী শামীমকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য ইলিয়াসের ডাকসু নির্বাচন নিয়ে নিরাপত্তাজনিত কোনো শঙ্কা নেই -ডিএমপি কমিশনার খালেদা জিয়ার নাম ভাঙিয়ে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা বদরুদ্দীন উমর বাহাত্তরের সংবিধানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন-নাহিদ ইসলাম
প্রধান প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম এখনো বহালতবিয়তে

ডেসকোতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

  • আপলোড সময় : ০৯-০৯-২০২৫ ০২:৪৩:৪৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-০৯-২০২৫ ০২:৪৩:৪৩ অপরাহ্ন
ডেসকোতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ
ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো)-এর প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ভয়াবহ দুর্নীতি, অনিয়ম ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। নানা কেলেঙ্কারির পরও তিনি বহালতবিয়তে দায়িত্ব পালন করছেন। জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে সীমাহীন দুর্নীতি সংঘটিত হয়। সে সময় প্রিপেইড মিটার স্থাপনের প্রকল্পে মফিজুল ইসলাম ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি লিয়াকত শিকদারের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট ভয়াবহ অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। এই সিন্ডিকেটের সহযোগী হিসেবে ছিলেন মফিজুল ইসলামের তিন ঘনিষ্ঠ সহকর্মী জাকির, মঈনুদ্দিন ও শরীফ। তারা মিলিতভাবে ডেসকোকে পরিণত করেছিলেন দুর্নীতির আখড়ায়। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ তারা বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যয় করতেন। ঢাকার দক্ষিণখানে একটি ভাড়া করা ফ্ল্যাটে নিয়মিত মদ, জুয়া এবং নারী নিয়ে কেলেঙ্কারির আসর বসাতেন। একপর্যায়ে তৎকালীন বিমানবন্দর থানা ছাত্রলীগ কর্মীরা মফিজুল ইসলামকে ওই ফ্ল্যাট থেকে এক নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। পরে প্রায় ২০ লাখ টাকা দিয়ে এবং লিয়াকত শিকদারের মধ্যস্থতায় তিনি বিষয়টি ‘মীমাংসা’ করেন। যদিও ঘটনাটি ডেসকোার সদর দফতর পর্যন্ত গড়ায়, তবুও প্রভাবশালী আশীর্বাদের কারণে শাস্তির মুখে পড়েননি। বর্তমানে অভিযুক্ত তিন সহযোগী চাকরিতে নেই, তবে মফিজুল ইসলাম এখনো বহাল আছেন। ঘটনার বিষয়ে জানতে প্রতিবেদক মফিজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি শুরুতে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন। পরে সরাসরি সাক্ষাতে দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, আপনার জন্য আমি নির্বাহী পরিচালক হিসেবে প্রমোশনের পরীক্ষা খারাপ করব। এগুলো সব মিথ্যা। আর কিছু বলতে চাই না। এরপর তার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতিবেদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ফোন করে প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করেন। অভিযোগ রয়েছে, এইভাবে মফিজুল ইসলাম তার সমালোচকদের দমন ও ভিন্নমতকে চুপ করিয়ে দেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স